এবার ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে ৯ থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈঠকের কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানান তিনি। জানা যায়, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসবেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। সব কিছু ঠিক থাকলে এটিই হবে গত আগস্টে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ভারতীয় কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার প্রথম ঢাকা সফর।
সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কথিত হামলা এবং ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নজিরবিহীন চাপের মধ্যে রয়েছে। এসব ইস্যুতে প্রতিদিনই বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের কয়েকটি রাজ্যে বিক্ষোভ হচ্ছে। ওই দেশের নেতারাও বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য ও প্রস্তাব করছেন। এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশের কনস্যুলেটে একটি বড় বিক্ষোভ থেকে হামলা হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া মঙ্গলবার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় বর্মাকে তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অবশ্য ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিবের সফরের এই সিদ্ধান্ত গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সাইডেলাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের মধ্যে একটি বৈঠকে নেয়া হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আগস্টে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর এটিই ছিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ।
এর আগে সবশেষ পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শের বৈঠক ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারের এই প্রস্তাবিত বৈঠকে ভারতের অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প পুনরায় শুরু করা, ভিসা ব্যবস্থার সহজীকরণ, সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানো এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।